নতুন করে আবিষ্কার করতে যেও না
মনের বাতায়ন খোলা রেখো ভালবাসা,
ওই মেঘের গর্জনে বৃষ্টি কোথায় যে হবে
কেউ তা জানে না, মিছে মিছে স্বপ্ন ছাতা
হাতে নিয়ে পথে যেন নেমে পড় না
শীতল সমীরণে ভেজা মাটির গন্ধ
ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক অদ্ভুত জগতে
দেহ হইতে মনের বীথিকায় অভিসার যতই
সুখদ মনে কর, ওই বাড়ন্ত জলরাশি অবশেষে
নেমে বিশ্রী কাদায় হয় পরিনীত,
সেই আদ্রভূমির নীচে নিঃশ্বাস হয় উঠে দুষ্কর
জ্বার ভাটায়, জীবন নৌকা যায় ক্রমশঃ গর্তে
হিংস ভাবনার কালান্তরে হয়ে উঠে বাসা,
পরিত্যক্ত তটভূমি করে হাহাকার
এখানে কৃতিম দাবানল নিষ্ক্রিয়, সজল
দ্বীপে পাষণ ঘর্শনেও আগুন ধরে না,
শুধুই আগামী প্লাবনের পথ চাওয়া
দিবা নিশি, সূর্য্য শশী, এক দীর্ঘ যাত্রা
মৌচাকের সন্ধানে বারে বারে পীছে চাওয়া
যেন এক অদৃশ্য আতঙ্ক
শয়নে, জাগরণে, নিদ্রিত অথবা উন্মুক্ত
নয়নে যেন উন্মাদিত কামনা
এক পা ফেলতে গিয়ে অন্যের দুর্গতি, খুবই মুশকিল
মনের জিনিষ মনেই গোছালে ভালো
শরীরে মাখতে গেলে বিতৃষ্ণার প্রতিধ্বনি
মেঘ গর্জন কিন্তু বৃষ্টির ঠিকানা জানে না.
---- শান্তনু সান্যাল