মুক্তির পথে
ফিরিয়ে দিয়েছ কি জন্ম ঋণ,আছো দেখি পিঠাধিশ,চোখের নিচে জ্বলন্ত কামনা
জ্বলে, লোলুপ ভাবনার তিলাঞ্জলি কবে
দিলে,ওই চোরা গলি তে দেখিছি যেতে
বহুবার, দৈর্ঘ্য শ্বেত দাড়ি মাখা মুখ সবাই
চিনে, ওই মুখে কোন মৃত দর্শনের
পাঠ কোরো অখন্ডিত ভাবে, কেও ত
সেই ভাষা আর বুঝে না, যাও যত পারো
বিষ ঢেলে, সাপুড়ে হলেই যে বিষমুক্ত
এমন কোনো মূলতত্ব নাই, ছোবলের
আশঙ্কায় ঘুম আসে কি, কিংবা অনিন্দ্রায়
খুঁজ বেড়াও চির যৌবনের মন্ত্র খানি,
বিড় বিড় করে সকাল সাঁঝে পড়ে চলেছ
কোন পবিত্র অভিলেখ, দেখতে চাও
দিব্য আলোর ঝরনা,মনের কলুষিত গুহায় !
পাসের ঘরে অন্ধকার অশেষ, কোরো
যত পারো আলোয় একাকার নিজের ঘর,
টেনে যাও অদৃশ্য ঘৃণার রেখা অস্তিত্বের
বৃতাকারে, হয় ত অবিলম্বে পৌঁছে যাবে ওই
স্বর্গ কি ফিরদৌসের সোপানের কাছে,
ওই অমরত্ব প্রাপ্তির জন্য ভালই বেছে নিয়েছ
ছদ্ম আবরণ,উলঙ্গতা,নিষ্ঠুরতা,অভিনয়
তবুও কি বাঁচাতে পারবে গ্রীবার ফাঁস
যখন ফেলবে নিয়তি,মৃত্যুর দড়ি আকাশ হতে,
বুকে জড়িয়ে রেখো যেন সেই মৃত অভিলেখ !
শিশুদের করুণ দৃষ্টি, চোখের বাষ্পিত
অশ্রু বিন্দু,নারীর চিত্কার, বিধর্মীয় ঘৃণার
অনুভূতি,পোড়ানো ঘরের ছাত, ঘর্ষণের
অভিশাপ,বিষের কৌটো নিয়ে যেও নিজের
সঙ্গে অন্তরিক্ষের পথে, মুক্তির জন্য
হয় ত কাজে লাগবে - - - - -
-- শান্তনু সান্যাল