বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১১


অনাসক্ত গন্তব্যস্থান


অনাসক্ত পৃথিবী, জ্বলে বৃহদ আগুন 
দিবা নিশি আমি চলি সেই অনবলোকিত শিখায়
অনুসরণ কর না, বেদনার শুধুই আমন্ত্রণ
এখনো যদি ভাবো, যাও বদলিয়ে ভিন্ন দিশা 
 ঘিঞ্জি পরিবেশ, এখানে করে বাস দেবতার 
কুতিসিত প্রণয়নের শিশু, ঘৃণিত, লাঞ্ছিত
বর্তমান, ভবিষ্যতের বাহিরে
শ্যাম ধুসর কিছু চেহারা ঘুরে ফেরে 
মৃত ভাবনার জন্ম, উলঙ্গ বিছিন্ন জীবন  
অযাচিত লোকের বসবাস এই অন্ধ গলি 
ফেলানো আত্মার সংসৃতি, কঠিন বড়ই, প্রিয়তমা!
এস না পিছনে, যাও ফিরে
শোষিত, কল্পনা ঘুমিয়ে রয় কবরের নীচে
সমাধি স্থল, স্মারকহীন, অশ্রুবিহীন 
হতভাগাদের এই শয়ন ভূমি
দুর্ভাগ্যের শিশুরা খেলে লুকোচুরি, ক্লান্ত 
দেহেরা ঘুমিয়ে পড়ে কঙ্কালের বুকে !
দুঃস্বপ্নের ছড়ানো আঁধার, বিলুপ্ত স্বপ্ন যায় 
হারায়, সুদূরে সঘন কুহেলিকা, ক্রোস বহু ক্রোসে
দিপ্তিবিহীন জীবনের বন পথ 
প্রিয় ! অপর পার্শ্ব হইতে ভালোবেসো না আমায় 
এখানেই বিদায়,বিপরীত পথে যাও এগিয়ে 
নিয়ে সিক্ত আবেগ !ক্ষনিক অশ্রু জলে
দিও না প্রেমের তিলাঞ্জলি
দীর্ঘ গ্রীষ্ম,সম্ভ্রান্ত মেঘেরা চায় না মিশতে
তারা উড়ে যায় সহজে মাড়িয়ে
স্বপ্ন ছায়া, আমি উদাস চেয়ে থাকি
উলঙ্গ আকাশের ছেঁড়া হাসি !
-- শান্তনু সান্যাল