মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১১

শুভ রাত্রি

অপ্রতিম সান্ধ্য গগনে সে
ভেসে উঠে নীলাভ
বেগুনি রঙ্গে,
স্বপ্নের
নিরুপম বিরল তারক -
লিখে যায় মিলন
বিরহের
গান,
ফুটে উঠে রজনীগন্ধা,
তার অনুরোধে
ঝরিয়ে রয়
মৌ গন্ধ,
সারা রাত চেয়ে থাকে
গগনের উন্মুক্ত
বিস্তীর্ণ বক্ষ
এক দৃষ্ট,
রাত্রি শেষে ঝরে শিশির
কণা, বিন্দু বিন্দু
ভরে যায়
জীবনের
রিক্ত ভাবনার ধরাতল.
-- শান্তনু সান্যাল


নিশীথ রাতের রহস্য

আজ কবিতা নয়, যদি বলি কাহিনী শুনবে কি,
এই কাহিনীর কোনো শীর্ষক নাই, নামহীন !
শুধুই অনুভব করতে হবে, মনের ভিতরে, সে
এখন পাশ ফিরে চেয়ে রয়েছে আমার দিকে,
তার নিঃশ্বাসের ওঠা নামার মাঝে থেমে আছে
জীবনের কিছু অতীতের ছেঁড়া, নোংরা পৃষ্ট,
বুকে আলতো ভাবে হাত রেখে সে শুনতে চায়
সব কিছু, ভূমিকা না বেঁধে সরাসরি আমি
খোলা জানালার বাইরে এক নজর দেখে বলি -
 সে দিন ও ছিল এমনি এক জবজবে রাত,
বাইরে তখন সঘন মেঘের বর্ষণ,আকাশ যেন
ভেঙে পড়তে চায়, শ্রাবণ কি ভাদ্র মনে নাই,
দেখি সন্নিধির সান্দ্রতা ঘনিয়ে চলেছে ক্রমশঃ,সে
এখন প্রায় বিজড়িত, কিছু ক্ষণের নিরবতা,
"তারপর -- বল না, কি হলো ঘুমিয়ে না কি "
হটাত মধ্য রাতে,ওই ১২ টা বা  দেড় টা হবে -
সঠিক মনে নাই,দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, ঠক
ঠক -- সে এখন আলিঙ্গনবদ্ধ,তারপরে, কিছু
মুহূর্তের বিরতি, আমি জানতে চাইলাম কে
আছে বাইরে,নিশীথ রাতে এই ভাবে কি দরজা
খোলা উচিত, "কি উত্তর পেলে " সেটা খুব
একটা মনে নাই,কিন্তু --"কিন্তু আবার কি হলো,
দরজা খুলে ছিলে," সে এখন বাহুপাশ খুলে
দিয়েছে,মুক্ত হরিণী খুঁজে চলেছে কস্তুরীর গন্ধ,
আলো জ্বালিয়ে জানতে চায় কাহিনীর
উপসংহার, আমি যখন সৃজনের শিল্পী, রহস্য
তো আমার হাতে, শবাধার ঢেকে দিয়েছি,
বাইরে সে দিনের মতন বৃষ্টি এখন থেমে রয়েছে,
ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে, আবার, তারপর
কি ঘটল,কে ছিল,কি হলো নানান প্রশ্নের মাঝে
দিনের আলো ছড়িয়ে গেছে চার দিকে, তার
কৌতুহলের মাত্রা কমী নি কোনো ভাবে,
আমি ও চাই যে রহস্যময়ী রাতের কাহিনী
যেন এই ভাবে টেনে আনুক তাকে নিকটতম !

-- শান্তনু সান্যাল