বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১

অনুপ্রবেশ
বলযকার, চক্র প্রতি চক্র, কেন্দ্রে সেই বিন্দু !
আমি চেয়েছি তোমায় ছুঁতে পরিধি ভেঙে
প্রতি বৃতের সেই তীব্র ঘুর্নীয় বেগ থামাতে
কখনো নগ্ন পায়ে গ্রীষ্মের প্রখর তাপে
মেঘের সঘন প্রস্তর ভেদে কিংবা ভেসেছি
শুন্যে, ঝরেছি বহু বার বৃষ্টির আবেশে
উঠেছি সহসা জেগে ঘূর্ণি ঝড়ের আবেগে
তুমি শুধুই হেসে যাও নিবৃত ভাবে এই হাসির
কোণে, তড়িত খেলে যায় আপন মনে
আমি নির্ভয় ডানায় উড়ে রই নিঝুম সন্ধ্যার
আগমনে, বহু বার তুমি ফেলেছ অবহেলিত
ফেনপুঞ্জ, তটিনীর বুকে আমিও রয়েছি স্থির
আগ্নেয় শৈল হয়ে, ওই মধ্য ভূমির সম্রাজ্ঞী তুমি
গড়েছ, ভেঙেছো, দিবস রাত্রি,খেলেছো নিয়তির
খেলা, আমি ভস্মিভূত শিখায় ঢেলেছি  আলেয়া
বারে বারে, দূরত্ব রচতে গিয়ে জড়িয়েছ মায়া
অভিমানী হুঙ্কারে অপমানিত হয় নি কোনো দিনই
আমার হঠকারিতা, প্রতি মুহুর্তে বিকরাল ভাবে
জাগিয়েছে পরিপূর্ণ রূপে তোমায় পাওয়ার কামনা
শল্কের আবরণ সরিয়ে গেছি হয়ে আমি প্রাণ বায়ু
তুমি অনিচ্ছায় করেছ আমায় গ্রহণ
সাগরের ওই গভীরতম তলে, প্রবাল ভিত্তির গুপ্ত
পথের আমি যাত্রি, গেছি হৃদয়ে প্রবেশ করে
রুধিরের সেই কণিকায় গেছি মিশে শিরায় শিরায়
আমার অতিক্রমণ ভেঙেছে তোমার সাম্রাজ্য খানি.
--- শান্তনু সান্যাল