বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১১


নদীর ধরাতলে 

অনবরত গতিশীল জীবনের কাহিনীবৃত্ত,
অভিমুখীন যেন নতুন দিগন্তের পথে,
নদীর এই রূপ অভিভূত করে 
যায় অভ্যন্তরীণ ভাবে,
তার হৃদয়ের আদ্র - 
ভূমি খেলে 
রোদ -
ছায়ার খেলা, দুই প্রান্তের হাসি কান্না -
জড়িয়ে বহে যায় সুদুর সাগরে,
কখনো মাঝির গানে খুঁজে 
উদ্গমের মূল বিন্দু 
আবার চায় 
বর্ষা -
রাতে ভেঙে সমস্ত কারা শিকল, প্লাবিত -
করে আসে মরুভূমির তপ্ত বসুধা,
প্রখর গ্রীষ্মে খুলে দিতে চায় 
যেন গোপন স্রোতের 
উপত্যকা, 
ঘাটের উদাসীন চোখের ভাষা বুঝতে চায় 
সে, ঢেউর রূপে ছুঁয়ে যায় বারম্বার 
সোপানের জগত, আত্মসাত 
করে বাসি ফুলের মালা,
উচ্ছিষ্ট প্রতিদানের 
নিয়তি নিয়ে 
বহে যায় মৌন অহর্নিশি সুদুর মুহানামুখী, 
লিখে যায়ে মর্মের বহু কাহিনী,
গাঙ্গ চিলের মন্ত্রণা শুনে 
চুপচাপ, মীনের 
অস্থিরতায় 
দেখে
 মৃত্যুর প্রতিবিম্ব, সে আনমনা ভাবে চেয়ে 
রয়, তীরের  ধুম্র বলয় উর্ধ্বকার 
উঠে চলেছে অন্তরিক্ষের 
পথে, যেন রহস্যের 
ধুমকেতু 
খুঁজছে হারানো বাসভূমি, চাইছে পারিবারিক 
পুনর্মিলন, কি জানে তার অভিলাষ 
কোনো দিন পরিপূর্ণতার 
বয়স পার করেও 
যাবে কি না ?

--- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/