অপরিচিত অক্ষর
শুনে গেছি আমি ও নির্বাক, বোধ হয়
সে বুঝে গিয়েছিল চোখের
মৌন অভিব্যক্তি
তাই ফিরে
যাবার বেলায় ফেলে গেছে এক ফোঁটা অশ্রু,
সেই আঁখির জলে দেখেছি জীবনের
বিম্ব, নদীর ক্ষণে ক্ষণে মরে
যাওয়া, তীরের বয়স্ক
গাছের তিলে
তিলে
শুকিয়ে নুয়ে যাওয়া, হয় ত শিখিয়ে গেছে
তার সিক্ত অবহেলা, নিঃশব্দ ব্যথার
সহনশীলতা, কিংবা শুধিয়ে
গেছে আত্ম পরিচয়,
আমি আর
খুঁজতে
চাই নি তার ঠিকানা, ভুলে গেছি কখন তার
শেষ দেখা, সমুদ্র সৈকতে আবার হয় ত
উঠেছে সূর্য্য নিয়ে নতুন পরিকল্পনা,
আঁধারে চিরদিন থাকে না
ঢাকা ভালবাসার
উপত্যকা,
নিসর্গের নিজের এক নিয়ম আছে, সব কিছু
যায় বদলিয়ে, বিরহের শাখায় ভরে
উঠে ফুল স্বাভাবিক ভাবে,
গাছ টের ও পায় না ,
সেই
অবাঞ্ছিত শৃঙ্গার, ভুলিয়ে রাখে মনের
পরিত্যক্ত যাজকপল্লী, গড়ে উঠে
জীবনে উচ্চ অট্টালিকা,
উড়ে রয় নব
স্বপ্নের
উড়ানসেতু, আকাশের গায়ে গজিয়ে উঠে
তারকের আসর, আলোর সমারোহ,
ওই সতত পরিবর্তনের খেলায়
পিছিয়ে পড়া ধাবকের
দিকে দেখে না
দর্শক,
যখন সে পৌঁছয় স্পর্শ বিন্দুর কাছে একাকী,
হাত তালির শব্দ যায় থেমে, দর্শক
বিহীন রঙ্গভূমি আর তার
হাঁপানির ভাঙন,
হারিয়ে যায়
অজ্ঞাতে,
জীবনের দৌড় কিন্তু থামে না, সে তুলে রাখে
আবার স্বপ্নের ছড়ানো টুকরো, ঘাম
ভেজা দেহের ওই মৌন হৃদয়ের
কোণে, চেয়ে থাকে প্রস্থান
দ্বারে ফিরে যাওয়া
চেনা অচেনা
ভিড়,