রোশনাইর স্রোতে ভেসে চলেছে রাজপথ থেকে
উড়ানপুলের শাখা প্রশাখা, মায়াবী আলোয় বিষ দন্ত
গুলো ভেঙে দিয়েছে সাপুড়ে, কিছু
ক্ষণে কাল নাগিনী জাগবে
মায়াবাজারের রূপে,
সাধু অসাধুর
ঝাঁক
জমে চলেছে ছদ্ম ক্রেতার আড়ালে -
না তুমি শুধুই নয় এই বেদির
অঞ্জলি, এই হোমের অগ্নি
অনবরত জ্বলনশীল,
নানান মন্ত্রে
আসক্ত জীবনের কাহিনী যায় জ্বলে এই
দহনে, কখনো প্রেমের ছলনা,
কখনো জঠরাগ্নির দায়ে
মানুষ নিজেই হতে
চায় ভস্ম,
আঁধারে যে দেখিয়ে ছিল আলোর সন্ধান
দেখি এক দিন সেই সুজন ফেলে
গেছে আবার অন্ধকারে,
এই বারে বারে উধ্বস্ত
হবার কাহিনী তে
নবীনতা বলে
কিছু নাই
প্রথমে সীমান্ত পারে আপনজন কেড়ে নিয়েছে
বাসভূমি, বেঁচে থাকার অন্তিম সম্বল,
দেশান্তরে যাযাবর দেহ ও
আত্মার বিক্রয়, এক
দখলের পরে
পুনরায়
দখল, সবাই যেন হাতে চাবুক নিয়ে হাঁকিয়ে
নিয়ে যেতে চায় নিলামীর চকে,
সেই শালুক ভরা পুকুর তীরে,
সুপারি নারিকেলর
বাগান, দোয়েল
কোয়েলের
গান, মাছরাঙ্গার ঝাঁপ, আর শুনতে বিরক্ত
লাগে, যা আমার নয় তাকে নিয়ে এত
মায়া কিসের জন্যে, যত সব কবি
কবি ভাব, এই গিঞ্জি বস্তির
মাথায় ত চাঁদ উঠে,
দেখে কি যে
হবে বুঝি
না, শরত কাল কি চৈত্রের ঝলসানি সব
সমান, পুঁথির বাহিরের এই জীবন,
বাঁচতে চায় শুধুই বর্তমানে,
কুহাশায় ঢেকে রাখো
কল্পনার সুখী
জীবন.