বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কোথায় যেন দেখিছি - -

দেখেছি তোমায় কাদা পায়ে
মাঠ পেরিয়ে সেই গঙ্গার ধারে
প্রাচীন কালী মন্দিরের বট -
বৃক্ষের ভাঙা সিড়ির উপরে
গাঙচিলের সেই অসয্য চিত্কারে,
তুমি কী এখনো বসে আছ পা
ঝুলিয়ে, ঘোলাটে অলস লহরে,
 শুধিয়ে ছিলাম এক দিন যে
ডিঙ্গার হিল্লোলিত আবেশে ও থাকে
নব সৃজনের অজস্র লুকানো গান,
ভেজা পায়ের ছাপে ছিল কিছু
বিসর্গ বিন্দু প্রেমের বর্ণ পরিচয়,
হাঁটু জলে নেমে তুমি চেয়ে ছিলে
ডুব দিতে, প্রণয়ের কচি সাগরে ,
তোমার বায়না শুনি নি সে দিন
সিউলির অবিকসিত কুড়ি, শরতের
ছোঁয়া ছিল বহু দূর ভিন্ন দেশে,
তুমি শুনো নি মনুহার কোনো রূপে
পা এগিয়ে ছিলে সেই অজানা বাঁশ
বনে কোন স্বপ্ন বুকে জড়িয়ে, শুনেছি
দিবা নিশি বসে থাক মন্দির প্রাঙ্গনে,
শুনি চোখে নিয়ে উড়ন্ত অতীত
সূর্য ঢলে গেছে নিস্তব্ধ কবে যে,
সুপারি, নারিকেল বাগান বাদ দিয়ে
চতুর্দশী চাঁদ উঠেছে বাঁশ  
ঝোপের অনেক উপরে।
দেখেছি তোমায় কাদা পায়ে
মাঠ পেরিয়ে সেই গঙ্গার ধারে
প্রাচীন কালী মন্দিরের বট -
বৃক্ষের ভাঙা সিড়ির উপরে
গাঙচিলের সেই অসয্য চিত্কারে,
তুমি কী এখনো বসে আছ পা
ঝুলিয়ে, ঘোলাটে অলস লহরে,
 শুধিয়ে ছিলাম এক দিন যে
ডিঙ্গার হিল্লোলিত আবেশে ও থাকে
নব সৃজনের অজস্র লুকানো গান
ভেজা পায়ের ছাপে ছিল কিছু
বিসর্গ বিন্দু প্রেমের বর্ণ পরিচয়,
হাঁটু জলে নেমে তুমি চেয়ে ছিলে
ডুব দিতে, প্রণয়ের কচি সাগরে
তোমার বায়না শুনি নি সে দিন
সিউলির অবিকসিত কুড়ি, শরতের
ছোঁয়া ছিল বহু দূর ভিন্ন দেশে,
তুমি শুনো নি মনুহার কোনো রূপে
পা এগিয়ে ছিলে সেই অজানা বাঁশ বনে
কোন স্বপ্ন বুকে জড়িয়ে, শুনেছি
দিবা নিশি বসে থাক মন্দির প্রাঙ্গনে,
শুনি চোখে নিয়ে উড়ন্ত অতীত,
সূর্য ঢলে গেছে নিস্তব্দ্ধ কবে যে,
সুপারি, নারিকেল বাগান বাদ দিয়ে
চতুর্দশী চাঁদ উঠেছে বাঁশ
ঝোপের অনেক উপরে।
কোথায় যেন দেখিছি তোমায়
পিতাম্বরী লাল পাড়ের তাঁতের সাড়িতে
এক হাতে কুচি অন্য হাতে চটি ঝুলিয়ে
তুমি ভয়ে থর থর
সাঁকো পার করে গেছ ওই খালের
বাঁ দিগে, সেই ঝুলন্ত আঁচল
নিশ্ছল হাসির মাঝে
ছড়িয়ে গেছ একান্ত মাছরাঙ্গা
বাতাস, কচি ধানের শিষে
যেন ঢেউ খেলে যায় শারদীয়
অন্তের সমীরণ, ওই সবুজ বাতায়নে
স্বপ্ন কিছু সেউলির গন্ধে মাখা,
সূর্যের তীব্রতায় আবার
দেখি তুমি সুদূরে শিমুল ফুলে
বাসন্তিকা হয়ে রয়েছে অজয় নদীর পারে
বাউলের বৃন্দ গানে কখনো দেখি
আছ বৈষ্ণবীর সাজে
পরে রয়েছে গলায় আমার তুলসী
কাঠে জড়ানো কবিতা
তোমার প্রেমের আবীর মেখে যায়
অতুকান্ত ছন্দের পঙ্ক্তি, লাজুক হাতে
আবার চেয়ে দেখি হটাৎ সাগর সঙ্গমে
হয় উঠেছে স্বছন্দ উর্মি মালা
উন্মুক্ত কুন্তল খুলে যেন দিয়ে যাও
হাতছানি, সেই ভুবন ভাসানো হাসি
প্রতি পল দিয়ে যায় রহস্য গভীর,
অবাক আমি পৃথিবী !
- - শান্তনু সান্যাল


মুক্তির ছন্দ - -

দক্ষের যজ্ঞ মাড়িয়ে, হোমানলের পথে -
এগিয়ে, আহুতির জ্বলন্ত বেশে,
যদি কোন দিন পারো,
ভস্মিভূত দেহে, এস
লুটানো করিদন্তীয়
আঁচলের
সেই
রক্তিম পাড়ে, হৃদয়ের মরুভূমিতে আজ
ও খেলে, রিক্ত কুম্ভের তৃষা, সনির্বন্ধ,
বিক্ষিপ্ত বন্য পুষ্পের রন্ধ্রের সেই
অপরিভাষিত সুরভি, ভাসে
অবিরাম, অনন্ত, জীবন
সাগরে, দ্রৌপদির
এলোকেশে
লুকানো
সূর্য্য
চন্দ্রের সেই মায়াবী পৃথিবী, সৃষ্টি কমল
নিয়ে হাতে, যদি পারো স্বংসিদ্ধার
রূপে, হে প্রেয়সী এস, আমার
উধ্বস্ত জীবনে, ভুমিকম্পিত
সুরে বাজিও রুদ্র বীণার
সুর, ত্রিলোক নয়নে
যেন উঠে মুক্তির
ছন্দ, সুপ্ত
বসুধার
বৃক্ষে
জাগে প্রলয়ের গান, সান্ধ্য প্রদীপের সহস্ত্র
শিখায় জাগৃত কর শাপমুক্তির অখণ্ডিত
রশ্মিধারা,চির পৌরুষের আহ্বান,
মহা তিমিরের পূর্ণ সমাপন,
ভগ্ন, কালজয়ী দেউলের
পরিপূর্ণ পুনরুত্থান  !
- -  শান্তনু সান্যাল