কবিতা নয় মৃগয়ার মুখে
গৌর বর্ণ, বড় বড় ধারালু চোখ, গেরুয়া বসনে
মধ্য বয়সী সেই দিব্য আভা মুখী পুরুষ কিংবা ---
কোনো অনন্য গ্রহের মানুষ জানি না,
ধারাপ্রবাহ ইংরেজি তে অবিরল কথা বলেই
চলে ছিল, গঙ্গা পার হতে গিয়ে আলাপ,
মন্ত্রমুগ্ধতার সঙ্গে মনে হয় বশীকরণ ও জানত,
ওই ক্ষণিক পরিচয়, নৌকা থেকে নামার বেলায়
দেখি হাতে এক কার্ড থামিয়ে দিলেন,
এক দিন চলে এস আশ্রমে -- আবার হাসির ঢেউ
সেই বৈরাগীর জাল, ভেসে গেলাম
ঠিকানা দেখি ঠিকই ছিল, কোন মহাপুরুষের
নামে জড়িত সেই রাস্তা, ১১২ কী ১১৩ বি কি সি
পৌঁছলাম, দেখা মাত্র সে অরন্যানন্দ কি যেন
তরঙ্গিত মুদ্রায় বললে - আমি জানতাম তুমি আসবেই
আশ্চর্য্য, আমি যেন তার প্রেমিক কী প্রেমিকা
হাসি থামতে না থামতে দেখি আমার সুপুরুষ
মাংসল গায়ে তার হাত কিছু যেন খুঁজে চলেছে
অস্বস্তির মধ্যে আদর যত্ন, যেন প্রাণ ঢেলে দিতে চায়
দেখি ভক্ত বৃন্দ সব কটা অল্প বয়সী পুরুষ
নারীদের প্রবেশ না কী বর্জিত, পবিত্র ভক্তি মার্গ
আরো কত কিছু, বিশ বায়িশের বয়সে ওই সব
ভারী ভারী মন্ত্র মাথার উপর দিয়ে গেল
সাঁঝ ঘনিয়ে এলো, দেখি গায়ে থেকে হাত গুলো
আর সরে না, প্রণাম করে বললাম গায়ে হাত দেবেন না
মাথায় হস্ত রেখে আশীর্বাদের নিয়ম জানি
ওখানেই বৈরাগের শ্রী ইতি, আর ফিরে দেখি নি.
--- শান্তনু সান্যাল