শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

অসমাপ্ত জ্যোত্স্না রাত্রি -
মিনার হইতে উঠেছে চাঁদ কি দেউলের শিখর পেরিয়ে !
জোছনারা ভবঘুরে,দিয়েছে নদীপারে ডেরা,ছাউনি বিহীন
শ্মশানের লাগোয়া কবরের নগরী,নিশীথ রাতে কারা কথা
কয়, কোন ভাষায়, কি গল্প করে, আবার দেখি হেসে যায় !
হাসির ঢেউএ অশরীরী ভালবাসা করে বৃন্দগান,হেঁটে চলে
তটবন্ধের উপর দিয়ে, পূর্ব মুখী বিহানের দেশে,না কি ওই
ভূখণ্ডে অশেষ,অনন্ত কালের এক ঝরনা ঝরে অবিরল ভাবে!
ওই মুক্তির পথের যাত্রির কোনো পরিচয় পত্র লাগে না,তারা
সবুজ, গেরুয়া, নীল,লাল রঙের বাহিরের মানুষ, আসলে -
তারা অব্যাহত,অদীক্ষিত,কি নাস্তিক জানি না,আপনমনে
করে যায় ভালবাসার রহস্য ভরা গান,ঝরে চন্দ্র রশ্মি পূর্ণ
যৌবনে সারা রাত, চাঁদ ডুবতে চায় না দর্শনের অম্বরে !
-- শান্তনু সান্যাল





অ-সংজ্ঞায়িত
দৃষ্টির ভিতরেও দৃষ্টি সমাহিত প্রকৃতির নিয়ম
খুবই জটিল,আছ জড়িয়ে বুক খানি, ষষ্ট নেত্র
খুলে রয়েছে কিন্তু অনন্য প্রান্তরে,  অভিনব -
কিছু প্রাপ্তির আশায় ধেয়ে চলেছে মন অবিরাম !
এই সুপ্ত আগ্নেয় গিরির উত্সে আছে অজানা
অনেক বহ্নিশিখার শাখা প্রশাখা, কোথায় গিয়ে
ভিড়বে তরী নদীর উতলা জলে বিম্বিত চন্দ্র
সে কি জানে !প্রাণ ঢেলে দিও ন ভালবাসা -
অকস্মাত যদি ভেঙে যায় আকাশগঙ্গা, হৃদয়
চায় কিছু অন্তরাল, নিরাপদ আশ্রয়, দূরত্বের -
কুহেলিকায় ঘনিয়ে রেখো জীবনের প্রহেলিকা !
কমল নাভি তে দেখেছি প্রেমের বিরাট উপগ্রহ
অলির আতঙ্ক ও সমীহে, পরাগের ব্যাকুলতা,
এই অস্থিরতার মাঝে খুঁজি দিব্য প্রেমের ছায়া,
--- শান্তনু সান্যাল


বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১১

দীপ্তিময় আঁখির কোণে
জীবনের কৃষ্ণধুসর আগ্নেয় শিলা সিক্ত করে
লমহায় গ্রীষ্মের ছিঁটে ফোটা বৃষ্টি
ক্লান্ত সাঁঝের নরম রোদ আনে কিছু খবর 
বাওবাব গাছে জোনাকিদের আজ সম্মেলন
আলোর ঝরনার দোল খেলা !
প্রস্তরের শিলা খন্ডে বসে একাকী দেখি
বিস্তৃত তৃণভূমি ফেলে যায় সবুজ মায়া
নিরব স্বর্গের সে আভাস কিন্তু ক্ষণিক
ক্রমশঃ মনে ঘিরে আসে অফুরন্ত আঁধার
রহস্যময়ী ধ্বনির আন্দোলন, অদৃশ্য চোখের
ঝিকমিকানি, স্নায়ুর বিষন্নতা, জীবনের যুদ্ধ
নিরাপদ স্থানের অনুসন্ধান, মনের আতঙ্ক শীর্ষে
এই অস্থিরতা মাঝে আগামী দিনের সকাল
মাথায় বুলিয়ে হাত দিয়ে যায় কিছু স্বপ্ন
এক অর্ধ উলঙ্গ শিশু খালি পায়ে দৌড়িয়ে চলেছে
খোলা  মাসাইমারা মাঠে, ধরে ইন্দ্রধনুর ঘুঁড়ি
রং গুলো ঝরে চলেছে বিন্দু বিন্দু, সে এক
বিহঙ্গম দৃশ্য, বৃদ্ধ, নারী পুরুষ, চেয়ে রয়েছে
আকাশের ইতস্তত ছাড়িয়ে দেওয়া খুশি
সেই রাতে অপ্রাত্যাসিত ভাবে নিরব ছিল
তৃণ চারণ ভূমি, মৃগদল মনে হয় ঘুমিয়েছে
আজ শান্তিতে,বহুকালের অনিদ্রিত চোখে
তারা দেখতে চায় না নিহারিকা, ধুম্রকেতু, চন্দ্র
এই মায়াবী রাত জাগিয়ে রাখে আশ্চর্য্যভাবে
বিলুপ্ত নির্বাপিত হৃদয়ের সমস্ত আসক্তি !
--- শান্তনু সান্যাল
ঘট শ্রাদ্ধ
নিবিড়, সঘন বাঁশ বনের মধ্যখানি দিয়ে সেই সরু পথ
নেমে গেছে নদীর গায়ে যেন চুষে নিতে চায় পূর্ণ সজলতা
সন্ধ্যার আকাশে ফুটিনি একটাও নীল মণি
ঢালু পথে হাঁটতে গিয়ে দেখি গড়িয়ে চলেছে অহংকার
পৈতের গীট, গোত্রের জাল, রক্তের বিশুদ্ধতা
জাতির অভিমান, বংশের সুকনো কিংবা মরা ধারা
পিতৃ দোষ বইতে গিয়ে রাত্রি এসেছে নেমে -
সুদূর কোন অঞ্চলে ডেকে উঠেছে শৃগালের দল 
জীবাশ্ম যুগের পুরোহিত করে দিয়েছে বন্দ কপাটখানি
এই দিব্য শয়ন বেলায় আমি একাকী হেঁটে যাই নদীর তীরে
জলের অর্ঘ্য নিয়ে অমাবস্যার আকাশে খুঁজি
যাযাবর তারকদের হারানো দীপ্তি
সংকল্পের নিজের মনে পুনরাবর্তন করে যাই
মানুষ মানুষের জন্য, মাটির অঞ্জলি নদীর গায়ে দিয়ে
নিজের ঘট শ্রাদ্ধ দিয়ে উদাস ফিরে আসি !
-- শান্তনু সান্যাল

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১১

ये तुम्हें भी ख़बर है और मुझे भी पता
कि वो शख्स  कभी नज़र नहीं आता,
फिर किस की ख़ातिर ये ख़ून बहा  -
वो हो न हो, ज़िन्दा हैं सांसें तुम में भी
मुझ में भी, सदियों से है ये सिलसिला,
ग़र पा जावो उसे किसी मोड़ पे लिखवा
लेना ये क़ायनात अपने नाम पूरा ही !
हमने तो छोड़ दी दुनिया मुहोब्बत के
लिए,न ख़बर कोई न है अपना पता !
--- शांतनु सान्याल
 

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১১

ঝঞ্ঝার আতঙ্কে কি ভাবে যাই সরে
এখানেই মনের ঝিনুক রয়েছে পড়ে
পাখিরা যদি চায় যেতে যাক উন্মুক্ত
গগনে, বালুকা বেলায় লিখেছি বহু
কাব্য, মরমের কাহিনী, এই মায়া
কি তুমি আমারে ভালোবাসো, জড়িয়ে
রাখে চিরদিন জীবন, সাগর তীরে !
--- শান্তনু সান্যাল

রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১

কাঁচের পাত্র

এমন কি হারিয়ে বসে আছি বিষন্ন মনে
নীহারিকার জগতে ঘটে না শুন্যতা
ঝরুক না পিঙ্গল জীর্ণ পল্লবের উদাসীনতা
সৃষ্টির রাগ অনুরাগে উঁকি দিয়ে যায়
জয় পরাজয়, নানা রঙ্গে, বিভিন্ন রূপে
জীবনের নিখোঁজ দৃষ্টান্ত, অপ্রকাশিত গন্তব্য !
ধরে রাখতে চেয়ে ছিলাম ভরা পুর্ণিমা রাত
সাগরের উন্মাদিনী উর্মিমালা গেছে ভিজিয়ে
অন্তকরণ, সাজিনি তবু আকাশের নিয়তি
অতৃপ্ত মনের প্রাঙ্গণে, একাকী বসে সারা রাত
দেখি আমার ছায়া সরে গেছে দূরে, বিরক্তির সুরে
অদৃশ্য জগতে যেতে চায়, পরিচয়হীন হয়ে
গড়তে গিয়ে মাটির প্রতিমা, ভুলে যাই বারে বারে
ত্রিনেত্রের গভীরতা, চিত্ত যেন কাঁচের পাত্র
ভেঙে যায় সহসা, মাটির বুকে যায় লুটিয়ে
রঙের চঞ্চল কণিকা, মুহুর্তে ধুলিশাত
নিয়ে আসি নারিকেল খোল, ভরে যাই ধুসর রং
ডুবিয়ে তুলিকা এঁকে যাই জীবনের এলোমেলো ছবি
আপনমনে ডুবতে গিয়ে ভেসে উঠি তোমার স্পর্শে
নিঃশব্দ পায়ে পার্শ্বে দাড়ায়ে কাঁধে মুখ রেখে
ছুঁয়ে যাও তুমি, আমার বক্ষের বিশালতা
মেরুদন্ড শীর্ষে, অধর উষ্মা জাগিয়ে রাখে পৃথিবী,
আঁধেরেও এগিয়ে যাই, ত্রিনেত্রের সীমানায় তুমি -
হেসে যাও ইন্দ্রজালিক হাসি, প্রণয়ের পরিপূর্ণতা !
বাড়িয়ে দাও সহজে নিজের হাতে, ধনু, খড়গ, কবচ
মাথায় রাজতিলক ! অভিশেখের এই বেলায় আমি
 প্রেমের শতদল প্রতিদান করে যাই, সজল হয় উঠে
তোমার অধরের পুরাতন মরুভূমি, বিস্তৃত ভাবে ভরে
যায় বন্ধ্যা বসুধা, অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে উঠে অরণ্য
নিঃশ্বাসে ঝরে জীবনের অনন্য স্বেদ মাখানো গন্ধ !
- - শান্তনু সান্যাল 
 

বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১১

ভাঙনের ধারে

ভাঙনের ধারে
জানি না কে তুমি জড়িয়ে লহ আঁধার পথে
মনের বিশৃঙ্খল মুক্ত ধারা 
আমি যাই সামলিয়ে বিলুপ্ত আলোর সন্ধানে 
অনাম গন্ধে ভরিয়ে দেহ সারা 
ওই পঙ্কিত বাটে ও ফুটে কমলিনী একরাশ 
বহে যায় হৃদয়ের বহু জলধারা 
কে যেন নিঃশব্দ লয়ে ডেকে যায় ওইসুদূরে 
অস্থির মম অন্তরে যেনএকতারা 
গাহে দিবা নিশি কার ব্যথিত সুর হৃদির 
মাঝে,আমি হয় উঠি দিশাহারা 
নিমিষে দেখি তোমার অদৃশ্য সঘন ছায়া 
ঢেখে রাখে ভাঙনের  চেহারা 
গগন, ভূমি ও বরুণের মহা রৌদ্র খেলায় 
দিয়ে রও  নিরবে নিঃসঙ্গ পাহারা
সৃষ্টির  বিরাট দাবার ছকে অদৃশ্য দাড়ায়ে 
সরিয়ে যাও নিয়তির  ধ্রুব তারা 
দিয়ে যাও স্বপ্নের ছোঁয়া বুকে যেন জড়িয়ে 
বাঁধি বাসা পলে পলে আমি বাস্তুহারা.
--- শান্তনু সান্যাল 
 

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১

অনুপ্রবেশ
বলযকার, চক্র প্রতি চক্র, কেন্দ্রে সেই বিন্দু !
আমি চেয়েছি তোমায় ছুঁতে পরিধি ভেঙে
প্রতি বৃতের সেই তীব্র ঘুর্নীয় বেগ থামাতে
কখনো নগ্ন পায়ে গ্রীষ্মের প্রখর তাপে
মেঘের সঘন প্রস্তর ভেদে কিংবা ভেসেছি
শুন্যে, ঝরেছি বহু বার বৃষ্টির আবেশে
উঠেছি সহসা জেগে ঘূর্ণি ঝড়ের আবেগে
তুমি শুধুই হেসে যাও নিবৃত ভাবে এই হাসির
কোণে, তড়িত খেলে যায় আপন মনে
আমি নির্ভয় ডানায় উড়ে রই নিঝুম সন্ধ্যার
আগমনে, বহু বার তুমি ফেলেছ অবহেলিত
ফেনপুঞ্জ, তটিনীর বুকে আমিও রয়েছি স্থির
আগ্নেয় শৈল হয়ে, ওই মধ্য ভূমির সম্রাজ্ঞী তুমি
গড়েছ, ভেঙেছো, দিবস রাত্রি,খেলেছো নিয়তির
খেলা, আমি ভস্মিভূত শিখায় ঢেলেছি  আলেয়া
বারে বারে, দূরত্ব রচতে গিয়ে জড়িয়েছ মায়া
অভিমানী হুঙ্কারে অপমানিত হয় নি কোনো দিনই
আমার হঠকারিতা, প্রতি মুহুর্তে বিকরাল ভাবে
জাগিয়েছে পরিপূর্ণ রূপে তোমায় পাওয়ার কামনা
শল্কের আবরণ সরিয়ে গেছি হয়ে আমি প্রাণ বায়ু
তুমি অনিচ্ছায় করেছ আমায় গ্রহণ
সাগরের ওই গভীরতম তলে, প্রবাল ভিত্তির গুপ্ত
পথের আমি যাত্রি, গেছি হৃদয়ে প্রবেশ করে
রুধিরের সেই কণিকায় গেছি মিশে শিরায় শিরায়
আমার অতিক্রমণ ভেঙেছে তোমার সাম্রাজ্য খানি.
--- শান্তনু সান্যাল  
 

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১১

বেঁচে থাকার অধিকার

কোন অদৃশ্য মন্থনে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি যখন হলো
জাগৃত, ধুম্রময় আকাশ, পৃথিবী, মহাসাগর জুড়ে
বিনাশের মুহানায়, অগ্নি ও জলের সমমিশ্রনে জাগলো
ভুমিকম্পিত সৃষ্টি, ওই মহাজলপ্লাবনের পথে আমি
দেখেছি তোমায়, দুই হাত উঠিয়ে শুন্যের মুখে
দাম্ভিক মুদ্রা গেছে ভেঙে, ভুলে গেছ তুমি
ঘৃনা, লজ্জা, মান অভিমান, অসহায়, মলিন, দীনহীন 
নতজানু মাথায় দাড়িয়ে আছো সেই ধ্বংস স্তুপে
সূর্য্য চন্দ্র তখন অস্তিত্বহীন নভের সংসৃতি আঁধারময়
ত্রাহি ত্রাহির মাঝে কীরিট গেছে গড়িয়ে সমুদ্র তলে
জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায়ে তুমি আছো সবাইর পিছনে
নির্বস্ত্র দেহে ছিল না কথাও রাজসী গন্ধ
সেই পেশী, মজ্জা, মাংস, শুক্রভূমি গেছে ঝুলে
 বক্ষ স্থলের বিশালতা, পুরুষালি অহংকার আজ দেখি
গলিত কুষ্ঠের গীঠ গুলো গেছে খুলে একের পরে এক
খসে পড়েছে সমস্ত বাসনা, কামনা, ছলনা, দানবতা
আমি মন্ত্রমুগ্ধ ভাবে দেখে থাকি তোমার এই নিরস্ত্র রূপ
ত্রিশার্থ অধরে চেয়ে আছো খুলে দুই হাত জড়িয়ে কিন্তু
হাত বাড়াতেই শুকিয়ে যায় সেই ক্ষীণ জল ধারা, মৃত্যুর
এই ভাবে তোমার এগিয়ে যাওয়া, বেশি ক্ষণ দেখতে পারি নি
পাষাণী বুকে আমার ও আছে এক গোপন স্রোত, সেই
নৈসর্গিক ঝরনা চক্ষুর কোণে যাই নি আজ ও শুকিয়ে
দুই ক্ষত বিক্ষত স্তনের মধ্যে বহে যায় ভালবাসা -
এই ঝঞ্ঝার বিভীষিকা, জল স্থল একাকার, তুমুল চিত্কারে
অন্তর্মনের গভীরতা আছে এখনো বেঁচে, এই অনুভিতির সম্মোহনে
যে তুমি ও বাঁচতে চাও ঠিক আমার মতন, প্রতিশোধের আগুন
যায় নিমিষে নিভে, তোমার বেঁচে থাকার অধিকার
আমি চেয়ে ও কেড়ে নিতে চাই না.
--- শান্তনু সান্যাল

 

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১১

মধুর মুহূর্ত

মধুর মুহূর্ত
সরিয় না স্বপ্নের যবনিকা কিছু ক্ষণ দিও
মোরে ঘুমের দেশে অযথাই হারিয়ে যেতে,
ফুটেছে আজ চাঁদের চার পাসে জাদু বলয়
থামিয় না এমন রাতে সুরভি ছড়িয়ে দিতে,
দুঃখ সুখের সন্ধিক্ষণে অদৃশ্য প্রীত বন্ধনে
ভুল না হে চন্দ্রিমা সুধাপ্রাণ ভরিয়ে দিতে,
জেগেছে অসংখ্য নিশি পুষ্প লতিকা বৃন্তে
কস্তুরিময় পলে মন চাহে মৌ ঝরিয়ে যেতে,
পথের ক্লান্ত ধুম্র গেছে লুপ্ত বাস্পিকৃত হয়ে
ভুল না প্রিয় জীবনের শুন্য ভরিয়ে নিতে,
জানি ক্ষিতিজে উঠেছে মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত
 হৃদয় চাহে নাএই মধুর মুহূর্ত সরিয়ে দিতে.
--- শান্তনু সান্যাল

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১১

অজানা পথিক

অজানা পথিক 
কোন জ্বলন্ত পথে গেছে আমার বসন্ত 
গোধুলি বেলায় রেখে গেছে প্রশ্ন অনন্ত 
পলাশের রং ঝরেছে নাকি, কেউ সহজে 
দিয়ে গেছে এক  মৌন বেদনা চিরন্তন 
বিজনে ভাঙা সুরে বাঁসুরী কেঁপে যায় 
জ্বলে উঠে যেন একাকী প্রদীপ অকিঞ্চন
উধ্বস্ত দেউলের বুকে এখনো কি গাহে 
পাখিরা গান বলে রয় প্রেমের অবদান 
সে  কোন দেশের পথিক খুঁজে বেড়ায়
হারানো দিনগুলি  অতীতের কিছু ঘ্রাণ
সরে সরে যায় ছায়ার যবনিকা ক্রমশঃ 
ভেসে উঠে শেষ প্রহরে বহু চাপা ক্রন্দন
একাকী কে যেন হেঁটে যায় রেল লাইনের 
উপর দিয়ে দূরে, মুক্ত করে  সর্ব বন্ধন 
সকালমুখী সেই যাত্রা কি যায় পার হয়ে 
ওই নদীর পুলে নাকি সবাই যায় হারিয়ে 
ঝরা বসন্তের এই ভাবে যাওয়া উদাস করে 
মন, কিন্তু কেউ ত থামালো না হাত বাড়িয়ে.
--- শান্তনু সান্যাল

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১১

আমি কি আছি ?
এস দাও আগুন এই ছাত বিহীন ঘরে
মাটির ভিত্তি, কঙ্কাল ময় দেহের দেয়াল
যাও পুড়িয়ে, কোথায় আছে মিছিল মশাল !
কি বা আছে আমার ঘরে দু খানা ঝুরি
বেলচা, শাবল, বাবুদের দেওয়া মাটি
কাটার আসবাব দামী, মাটির হাড়ি, ছেঁড়া
মাদুর, ভাঙা খসা উঠোনের নিয়তি,
দড়ি বিহীন খাট ঝুলানো সকালের গায়ে
কাঁধের কালো দাগে লুকিয়ে রেখেছি স্বপ্ন
আপনজন আবার কোন জীবের নাম জানি না
কোথায় কোন বস্তিতে তারা নাকি নাচ
গান করে, বেঁচে আছে সেই বড় উপলব্ধি
বেড়া দেব কার লাগি, দুই চার মরা গাছ নিয়ে
কিসের মায়া, তুমি বললে আমার ও নাম আছে
ভালো কথা, লিখে রেখো নিজের কাছে
ধার ফিরিয়ে দেব আগামী জন্মে, এই মাঝ
আঙ্গুলের কি বা মূল্য, দাও পুড়িয়ে
হাড়, মাংস ই যখন নাই গায়ে কি হবে দেখে
হিরক বলয় চিকচিকে !
--- শান্তনু সান্যাল