শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

আবরণহীন


আবরণহীন 
প্রথম আলাপে ই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া, মনের
পৃষ্টভূমি, ভালো না লাগার কারণ খুঁজে পাই নি, 
পরিষ্কার,পারদর্শী, সেই হৃদির স্তরে, ভ্রান্তির -
কোনো আবরণ ছিল না, কেবল নগ্ন সত্য !
ওই পুস্তকীয় প্রেমের লুপ্ত শাখা প্রশাখার বাহিরে 
সে খুলে গেছে পেঁচানো গ্রন্থী প্রতি গ্রন্থী,
প্রণয়ের আর্বাচীন মুক্ত পরিভাষা, বিম্বিত সলিল,
অপ্রয়োজনীয় ভূমিকা না বেঁধে সরাসরি,
সহজ ও বোধগম্য ভাষায় সে বুঝিয়ে দিল,
শুধুই সে ভালবাসে দৈহিক সংরচনা, হাড়, মাংস-
পেশী, রক্তের উত্তাপ, পূর্ণ পৌরষময় কাঠামো 
এখানে হৃত্পিণ্ড অর্থহীন, বন্ধ্যা ভূমি মাত্র !
অভিব্যক্তির পার্শ্বে ছিল উলেখযোগ্য পূর্ণতা -
একাকী তন্দ্রা হারা রাতে দেখেছি ওই ক্লিষ্ট কবিতা 
দাড়িয়ে রয়েছে সমুখে সম্পূর্ণ শব্দ বিহীন উলঙ্গ !
আর আমি খুঁজে বেড়িয়েছি হারানো বর্ণমালা, স্বর -
ব্যঞ্জন, লিপি, চন্দ্রবিন্দু ইত্যাদি, সেই দিন থেকে আজ 
পর্য্যন্ত, বিচিত্র অনুসন্ধানে আমি যেন বিক্ষিপ্ত !
খুঁজে চলেছি জীবনের বালুকা বেলায়, হৃদয়ের রক্ত বিন্দু 
মধ্য নিশীথে ব্যংগ্য হাসির বহ্নিশিখা 
চুসে বেড়ায় ভালবাসার চন্দ্রিমা, পাহাড়, নদী 
 উপত্যকা,সাল বন, মাদক মহুয়ার বিতান, বৃহতম -
ভূমি, দেহের পরিপূর্ণ ইন্দ্রিয়, সে ক্রমশঃ করে যায় শীথিল !
নাভির পরিধি জুড়ে এঁকে যায় রজত কমল সারি সারি,
বিশাল বক্ষে ঘনীভূত স্বেদ কনের স্খলন, ভিজিয়ে রাখে 
হৃদয়ের স্নায়ু, দীর্ঘ নিশ্বাসে ভরে যায় অজ্ঞাত তীব্র সুরুভি !
-- শান্তনু সান্যাল   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন