সৃষ্টির সেই খমধ্য বিন্দুর খুব নিকট
যখন সজল বারিদ যায় ছুঁয়ে
অন্তর্মন, আমি রাখি
জ্বলন্ত অধর
তার
গলবন্ধ বুকের সন্ধিস্থানে, পরিত্রাণের
আশায়, তাপদগ্ধ ঊষর ভূমি
ভেসে উঠে বহু লুপ্ত চিড়
নিয়ে, হটাত
বসুধার
দেহে, এমন ক্ষণে মন চায় হয় যেতে
মুষলধার বৃষ্টি, অবিরাম,
একরাশ শুধুই ঝরে
যাওয়া, যেন
ক্ষিপ্ত
অভিলাষ, অগ্নিমুখে কৃতিম সরসীর
সৃজন, আগ্নেয়গিরির অন্তরে
যাওয়া, ভস্মীকরণের
আবেশ, সমন্বয়ের
তীব্র আবেগ,
হৃদয়ের
অমত্র্য রূপান্তর, এমন সময় জীবন
চায় তার অনাবৃত প্রণয়ের
স্পৃহা, পূর্ণ উজ্জ্বলমুখী
অর্চির সৌন্দর্য্য,
উন্মুক্ত রুপি
সমর্পণ,
যেন এক দর্পণের মাঝে অন্য আরশির
বহুমুখী প্রতিফলন, বিশুদ্ধ মনের
গন্ধে সিক্ত জীবনের স্বপ্নিল
পাপড়ি, দেহের গভীরে
হতে প্রেমের বাহির
আসা, দিব্য
আলোর
উদ্ভাসন - - -
--- শান্তনু সান্যাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন