কূল কিনারা
অশ্রু আঁখির কোণে, সে দিন তাই
হলো, কড়া নাড়ার শব্দ শুনে
বিরক্তির ভাব নিয়ে
ছেলে খুলতে
গেছে
দ্বার, না মুখ দেখে বলল, মাফ করবেন,
আবার ঠক ঠক, দরজা খুলতে
না খুলতে, চিত্কার -
হতভাগা নিজের
মাকে চিনিস
নে, ছেঁড়া জর্জর সেমিজে বৃদ্ধার হাঁপানি,
জড়ো হলো হালদার গুষ্ঠী, যেন
চার দিকে ত্রাহি ত্রাহি, আর
বলিস নে, ওই নাগা
বাবাদের যুদ্ধের
কাহিনী,
পরান বাঁচাইয়া ফিরেছি তা দেখবি কেন,
শুধুই জানতে চাস তাদের কেস্সা,
বাসায় ফিরলাম দেখি নিজের
পেটের পোলা বলে মাফ
করবেন, ওই যে
হা করে কি
দেখছিস, ভূত ভাবছিস না কি, বৃদ্ধার
ক্লান্ত মুখে কুম্ভ মেলার দাপট,
ত্রিবেনির পবিত্র মাটির
দাগ যেন এখন
দেদীপ্যমান,
বড় ছেলের আবদার একটু বেশি, বললে -
সে জন্যই বারণ করেছিলাম যেও
না, কারো কথা শুনলে ত,এই
চুপ কর হারামজাদা
তোকে হাড়ে
হাড়ে
চিনি, ট্রেনের ভাড়ার জন্য যত সব
ন্যাকামি, আমি সব বুঝি,ন মাস
পেটে রেখেছি বুঝলি, যা
ফুল কিনে আন দেখি
যত সব বড় বড়
কথা আমার
পূজা দিতে হবে," কুম্ভের স্নানের পরে কি
আবার স্নান করতে হয় নাকি "
ছেলে ফিসফিসিয়ে
দরজার
শিকলে হাত দিল,
গঙ্গা পর্বের যেন কূল কিনারা নাই - - - -
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন