রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি - -

অনেক সময়ে দেহের খাঁচা হটাৎ যেন মনে
 হয় এক ফাঁপা প্রাসাদ, নিঃশ্বাসের
 ঝাড়বাতি নিভু নিভু, আর
 স্মৃতিরা করে যায়
 অট্টহাস, ওই
 বিবর্ণ
 দেয়ালের গায়ে সারা রাত জীবন করে যায়
 ছায়া নৃত্য, তবুও জানি না কেন, হৃদয়ে
 জেগে রয় সকালের কচি আলো,
 কিংবা তোমার নিঃশর্ত
 ভালোবাসা, অথবা
 বেঁচে থাকার
 স্পৃহা।
আসলে, অভিলাষের ফর্দ খুবই দীর্ঘ ! তাই -
আঙ্গুল ধরতে গিয়ে দেখি কনুই যেন
প্রলুব্ধ করে যায় সাঙ্ঘাতিক
ভাবে, আর দেহ তখন
সদ্য  বিস্ফোরিত
আগ্নেয়গিরি,
ধরে
রাখতে চায় বুকের মাঝে শ্রাবণের শেষ বৃষ্টি।

* *
- শান্তনু সান্যাল  


   

  

বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

চির জ্যোতির্ময় !

শীতকালের শেষে যখন মহুয়ার গাছে
ফুলের শঙ্কু ধরে, পাতা ঝরার
মৌসুমে অরণ্য নদী গুটিয়ে
বহে যায় সুদুর অঞ্চলে,
ওই মন্থর ধারায়
জীবন খুঁজে,
তার বুকে লুকানো ভালবাসার গুপ্ত -
জলধারা, কখনো শিলা খণ্ডের
নিচে, কখনো ভূগর্ভস্থ
স্রোতের রূপে
ভেসে ওঠে
সিক্ত ভাবনার অর্ঘ্য তার ভাসা ভাসা
চোখের তীরে, কোন পাষাণযুগীন
মন্দিরের ভগ্নাবশেষ তার
প্রণয়ের টেকসইতা,
উৎসন্ন হওয়ার
পরেও যেন
খুলে হাসে জোছনাভরা রাতে, আজও
তার হৃদয়ে ভেসে ওঠে এক অমূল্য
উদ্ভাসন, বাস্তব প্রেম তখন
সুবর্ণ উপলব্ধি, চির
জ্যোতির্ময় !

* *
- শান্তনু সান্যাল



 

শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৩

বিযুক্ত সাথীর বুকে - -

সে সহযাত্রী ছিল ঠিকই, কিন্তু কোথায় - -
 
যেন তার অনুরাগে নিশ্চই ছিল
ঘাটতি, আলো – ছায়ার
ওই খেলায়, কখনো
সে ছিল অন্তিম
কুঠরিতে
হাত বাড়িয়ে আকাঙ্ক্ষিত, আবার অনেক
সময়ে আমি ছিলাম একাকী দাঁড়ানো,
শীতের মধ্য রাতে, জন শূন্য
স্টেশন চত্বরে, বিনিদ্র
চোখে চেয়ে
আছি সুদুর সুড়ঙ্গ পথে, যেখানে গেছে যেন
হারিয়ে, শেষ প্রহরের কাচিক স্বপ্নের
দেশ, বিরোধিতা কি অবহেলা
অথবা অনুক্ত ভালবাসা,
সব কিছুই ছিল
তার মধ্যে,
বিশ্বাসঘাতকতা একটুও ছিল না ওই বিযুক্ত
সাথীর বুকে - -
* *
- শান্তনু সান্যাল


বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

পড়ন্ত বেলার নরম রোদ্দুর - -

তুমি আজও শীতকালীন, পড়ন্ত বেলার
নরম রোদ্দুর, লুকিয়ে গায়ে মেখে
রাখতে চায় এ জীবন, তাই
কখনো সখনো দেখি
স্মৃতির অলিন্দে,
সন্ধ্যার
পরেও কী

যেন চিক চিক করে, পড়ে -
রয় আপন মনে অনেক ক্ষণ, তুমি
আজও যেন শিউলির চাপা
জাফরান গন্ধ, পাতা
ঝরার মৌসুমেও
জড়িয়ে
থাকো সারাটা শরীরে, কোনো মসৃণ
কাশ্মীরি শালের রূপে ! যাকে
বলে বহির্গামী শীতের
গোলাপী আভাস,
আশ্চর্য্য
বৈকি ! বারংবার মধুমাস এলো গেলো,
নিসর্গের নিয়ম চিরস্থায়ী, নিজের
জায়গায় সময়ের হাতে সঠিক
বাঁধা, তবুও তুমি দেখি
একটুও বদলাও
নি, বুকের
মাঝে, যথারীতি আগের যেমন ছিলে -
রোদ ছায়ার মিলন বিন্দু তে, হাসি
কান্নার মাঝে এক তির্যক
রেখার সমরুপে
উপস্থিত !
অদৃশ্য থেকেও, তুমি করে যাও অদ্ভুত
অধিকরণ - -

* *
- শান্তনু সান্যাল
  

মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩

এ কেমন অগভীর ঘুম - -

এ কেমন অগভীর ঘুম, হেঁটে চলেছে -

জীবন যেন আকাশগঙ্গার 
উপরে, অবিরাম 
ভেসে, না 
দেহের 
চিন্তা, না প্রাণের অনুরক্তি, কার মোহে 
 উন্মাদ অনুধাবন, এ কেমন 
নিশীথ ডাক, নিঃশব্দ 
কিন্তু করে যায় 
ঝঙ্কৃত 
অন্তরতম, এ কিসের মায়াবী ছায়া -
বশীভূত করে যেতে চায় 
রাগ অনুরাগ, হাসি 
কান্না, নিমজ্জন 
কখনো 
শুন্যে ভাসা, এ কেমন প্রেমের আগুন 
অদৃশ্য দহনে পুড়িয়ে যায় 
সব কিছু অস্তিত্ব 
উঠে চলেছে 
ধুম্র পথে,
এ কোন মহাকায় মাকড়সার জাল, -
স্বপ্নগুলো ঝুলে রয় শিশির 
কণার রূপে, মিথ্যে 
ও সত্যের 
ভিড়ে 
হৃদয় খুঁজে কার অসীম ভালবাসা, এ 
কেমন অগম পিপাসা, দাঁড়িয়ে 
গভীর সরসীর তীরে 
চেয়ে রয় অতৃপ্ত 
চোখে ঢেউর 
ভেঙ্গে 
যাওয়া, এ কেমন আত্ম পরিক্রমা, চার  
দিকে যখন দাবানল, খুঁজে 
হৃদয় কস্তুরী গন্ধের 
চক্রনাভি - - 
* * 
- শান্তনু সান্যাল 




রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

আলো ছায়ার খেলা - -

আলো ছায়ার খেলা চলে সারা রাত,
অন্ধকার সহসা তখন জীবন্ত,
দীর্ঘ নিঃশ্বাসের সঙ্গে
ধরে রাখতে
চায়
জোছনার চঞ্চলতা, যখন নিশীথে -
ঘনিয়ে ওঠে অরণ্যের হিংস
বৃত্তি, তখন নিশি পুষ্পের
গন্ধ যায় ছড়িয়ে
চার দিকে,
সেই
আবেশিত মুহুর্তে, সব তথাকথিত  
স্থিতিমাপ যায় বদলিয়ে, না
তখন তুমি তোমার
মাঝে, আমি ও
তখন
খসিয়ে চলেছি গায়ে জড়ানো মিথ্যে
উজ্জ্বল আঁশের আবরণ, না
তুমি পার করেছ কোনো
সীমান্ত রেখা, না
আমি ও গেছি
ডিঙিয়ে
কোনো নৈসর্গিক রচনা, কোনো - -
কিছুই ছিল না কাল্পনিক !
ওই হাড় মাংসের
খাঁচায় কিছু
ক্ষণের
উচ্ছ্বাস, নিঃশ্বাসে অকৃত্রিম গন্ধের
আভাস, কিছু মুহুর্তের ওই
খুশির মধ্যে ছিল দীর্ঘ
অভিলাষের
তৃপ্তি !
* *
- শান্তনু সান্যাল


শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

উড়ন্ত চিঠি - -


এক উড়ো চিঠির সাথে, গত মধ্যরাতে, 
শিশির ভেজা বর্ণমালা, কে যেন 
ছড়িয়ে গেছে ফুলের গায়ে,
এলোমেলো ভাবে, 
সারা রাত 
খুঁজেছে মন তোমার ওই মৌন প্রেমের -
অভিপ্রায়, জুড়েছে বারে বারে 
উড়ন্ত চিরকুট বুকের 
মাঝে, বুঝতে 
চেয়েছে 
তোমার হৃদয়ের আবেগের সমীকরণ !
কখন দেখি, শুন্য আছে চোখের 
আগে, আবার দেখি 
অনেক সময়ে 
তুমি যেন 
হয়ে উঠেছো রঙ্গীন আকাশের মুগ্ধতা,
আর আমি সমানে কুঁড়িয়ে চলেছি 
শেষ প্রহরের ঝরা ফুলের 
গন্ধ, তোমার ওই 
উড়ন্ত চিঠির 
উত্তর 
তুমি নিশ্চই চাও, তাই অসমাপ্ত এই 
জাগরণ - -

* * 
- শান্তনু সান্যাল 

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

অপ্রত্যাশিত সম্ভাবনা - -

কথা না রাখার কারণ কিছুই হতে পারে,
জীবনের পথ এত সোজা কোথায়,
প্রতিটি মোড়ে ছিল অদৃশ্য 
ভাঙনের গহ্বর -
অজ্ঞাত
আবাহন, তবুও হারিয়ে খুঁজে পাওয়ার 
সুযোগ লুকিয়ে রয় নিঃশ্বাসে,
হয় ত আবার দেখা 
হবে কোনো 
দিন 
কোনো এক রঙ্গীন সাঁঝে, নিয়ে বুকে 
অতীতের অনাবিষ্কৃত স্বপ্ন,
কিছু অকথিত কথা 
কিছু সজল 
ভাবনা,
সূর্য্য ডোবার সাথে জড়িয়ে রয় নতুন 
সকালের সম্ভাবনা, পৃথিবীর 
অন্য প্রান্তে এখন ফুলের 
প্রস্ফুটনের বেলা,
না হয় 
কিছু অপ্রত্যাশিত মধুর গন্ধের সাথে 
যাই আবার হারিয়ে - - 
* * 
- শান্তনু সান্যাল 
http://sanyalsplanet.blogspot.com/

art by North Beach Crafts 

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩

মহাসাগরের অট্টহাস

মায়ার বাঁধন যতই খোলো পুনরায় লতিয়ে
রয় অন্তর্মনে, মৃন্ময় কুম্ভের  সেই অদৃশ্য
মিহি ফাটল রেখা হতে ঝরে বিন্দু
বিন্দু, জীবনের সঞ্চিত
জলরাশি গড়িয়ে
যায় মাটির
বুকে, মনের রিক্ততা ভরে রাখে অসীম
পিপাসা, সাধের উর্বর ভূমি রয়
নিষ্ফলা, নিয়তির জোয়ার
অজান্তে  বয়ে  আনে
নোনা জলের
ঢেউ, অঙ্কুরিত স্বপ্নগুলো যায় অসময়ে
ঝলসিয়ে, বুকে জড়িয়ে থাকার
শপথ ছিল হিমায়ত ঝিলের
ভাসন্ত ধরাতল, পা
রাখতেই ভেঙে
গেছে কাচের সদৃশ মায়াবী জগত একবারে,
ওই নিবিড় আঁধার পথে একাকী হেঁটে
যায় ছায়াময় পথিক, সুদুর
পিছনে আলোকিত
পান্থনিবাসে !
সে হারিয়ে এসেছে তথাকথিত নিকটতম বন্ধু,
কিংবা তারাই হয় ত সুযোগ দেখে
যাত্রার দিশা নিয়েছে বদলিয়ে,
ওই সুড়ঙ্গপথের অন্তিম
যাত্রী চেয়ে আছে
প্রস্থান দ্বারের মুখে, মাঝিবিহীন নৌকা ও
ভাসন্ত মাস্তুল ও অরিত্র, সঙ্গে  নীল
মহাসাগরের অট্টহাস - - 
- - শান্তনু সান্যাল


শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

প্রত্যাশার অন্তরালে - -

এখনো থেমে আছে মধুমাসের আবেগ প্রবণতা,
জীবন ধরতে চায় উড়ন্ত শিমুল তুলোর
ঠিকানা, এখনো বাসন্তী আভাস
করে যায় আত্ম বিভোর,
ওই পল্লব বিহীন
তরুশাখায়
আজ ও
লেগে আছে বিগত রাতের শিশির সিক্ত স্পর্শ,
সহজ কোথায়, চির প্রণয়ী হৃদয়ের
নিবৃত্তি ! ক্রমাগত দহন প্রতি -
দহন, অহর্নিশ স্বপ্নের
ভাঙা গড়ার
মাঝে
তার চিরন্তন সন্ধান, এখনো জীবন রয়েছে
অনিঃশেষিত, নিয়ে বুকে সজল
ভাবনার তরঙ্গিত
তীরভূমি - -
* *
- শান্তনু সান্যাল  


মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

অধর কোণে - -

কিছু কথা থাক না অধর কোণে, ঈশানী
মেঘের রূপে, নিথর অভিলাষের
সন্ধ্যা চায় অপ্রত্যাশিত
উষ্ণতা, এখনো
আঁধার
হয় ওঠে নি নিরন্ধ অপারদর্শী, কিছু -
ভাবনা থাক না লুকিয়ে, অর্ধসুপ্ত
রজনীগন্ধার লাজুক
পাপড়ির বন্ধ
আবর্তে,
জোনাকির আলো ছড়ায় নি এখনো -
হাসনুহানার বৃন্তে, কিছু ক্ষণ
আরও জ্বলে উঠুক
আবেগের
শিখা,
কিছু মুহূর্তের পরে ঠিক সজীব হয়ে
উঠবে, পাষাণী গ্রীক দেবতা !
চাঁদের আলো ছড়াক
কিছু আরও
মোহিনী
মায়া, এখনো রাত্রি অনেকটা বাকি !

- শান্তনু সান্যাল

 

রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩

সারাংশ - -

 
কী তুমি এখনো বসে আছ করতলে মুখ
ঝুলিয়ে, অলিন্দের সীমানা পার  
করে রোদ গেছে হারিয়ে,
বহু দূর, অনেক
আগে -
পুকুর পারের একাকী পিয়াল গাছে, - -
ফিরে এসেছে মায়াবী আঁধার,
পাখিদের কলরব
নীরবতার
পথে !
কী এখনো খুঁজে চলেছ বাসী ফুলের - -
নিরস গন্ধ, অতীতের পৃষ্ঠে
লেখা অবুঝ কবিতা,
জীবন চির
উদ্দাম,
খেলে যায় লুকোচুরি নিয়তির সাথে !
এখনো রাত্রি অনেক অশেষ,
আলো ছায়ার খেলা
সবে আরম্ভ,
কে মৃগ
আর কে যে মৃগয়া, সব কিছু অনাগত
আগামীকালের গর্ভে সমাহিত,
হারানো প্রাপ্তির মাঝেই
লুকিয়ে রয় জীবনের
সারাংশ - -
এখনো জীবন্ত কুহেলি ভরা পথে, মম -
প্রণয়ের নিশীথ ডাক, বুকে
জড়িয়ে সিক্ত জোছনা,
হাঁটছে চিরন্তন - -
* *
- - শান্তনু সান্যাল,

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

আলফা পুরুষ - -

পাপ পুণ্যের চক্রান্তে ফেলে দেহ ও প্রাণ, সে এখন
ভেজা অর্ধ নগ্ন শরীরে বেয়ে উঠছে ঘাটের
মন্দির সোপান, উত্তরীয় বিহীন তার
কাঁধে পবিত্র কুম্ভের জল চলকে
পড়তে চায়, সে এখন মহা -
ঋত্বিক, পেরিয়ে সদ্য
এসেছে যেন পুণ্য
ক্ষীরসাগর !
হয় ত সে এখন মুছবে পরিষ্কার ভাবে দেউলের
পূজাবেদী, গাঁথবে কুসুম মালা, ঘষবে
চন্দনের কাঠ, জাগাবে পঞ্চ প্রদীপ,
কিন্তু মনের শঙ্খ নিঃশব্দ,
ধ্বনিবিহীন যতই
ফু দাও না কেন,
সে বোবা !
তুলসী মালা ছুঁয়ে সে করে চলেছে পাপের
প্রায়শ্চিত, কিন্তু তার দেহের কোষে
আবদ্ধ আছে এখন প্রবল
আকাঙ্ক্ষা, আগ্নেয়
খেলা, জোর
পূর্বক
সেই আদিম প্রক্রিয়া, বলাত প্রস্ফুটনের সে
এক মুরুবি, দলপতি ! বিশ্বে সে কিন্তু
একা নয়, সমস্ত দিব্যলোকের
ঠিকানা রয়েছে ওই
শ্মশ্রু ভরা মুখের
হাতে, তারা
জানে কি ভাবে নেশায় ফেলে রাখা যায়
পৃথিবীর মানুষকে, নিজের সাধের
জন্য সে রচে অভিনব
জাদুর খেলা,
সাজায়
কপাল শীর্ষে রঙ্গীন পালকের গুচ্ছ ! বলতে
চায় সে একটি মাত্র আলফা পুরুষ,
শ্রেষ্ঠ ধর্মের পুরোধা, সমাজ
শুধুই তার অনুচর,
চাবুক তার
হাতে
শোষণের সে অশ্বারোহী হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে
চায় যেখানে তার ইচ্ছে ওখানে
কিন্তু কি সব সময় এটা
সম্ভব - - - ওই বিন্দু
তে থেমে রয়েছে
প্রলয় ! যখন
নিরীহ
প্রাণী  চাইবে হাঁটতে  জ্বলনশীল মহা দাবানলে !

--- শান্তনু সান্যাল