যদি জানা যেত
সম্পূর্ণ জীবন যে চোখ চেয়ে রইলো
শুন্য আকাশে, দিবা নিশি,
রোদ ছায়া, গ্রীষ্ম
শীত,
কাটিয়ে গেল প্রতি মুহূর্ত,যদি জানা
যেত, তার স্বপ্নে, জীবনের
প্রতিবিম্ব কি
ছিল,
সে এক জন, আনত পিঠ নিয়ে সমানে
অনেক কষ্টে টেনে কলেছে
রিকশা, গত সাঁঝে
নীচে পড়ে
নীচে পড়ে
আর উঠতে পারি নি, যদি জানা যেত
তার হৃদয়ে ভোরের ছবি কি
ছিল, সে এক অন্য
চেহারা,
আনমনা, নিরব ভাবে রেস্তোরাঁ তে
কাজ করে অনেক রাতে
সারাটা জীবন শুনে
গেছে খিস্তি
গালাগালি, যদি জানা যেত, তার মিষ্টি
শৈশবের কিছু গল্প কি ছিল,
ওই বৃদ্ধ প্লেটফোর্ম
সংখ্যা ১৩,
মাথায় বয়ে চলেছে বোঝা, বিভিন্ন রেলের
ঠিকানা দিয়ে থাকে, একাই রইলো
যদি কোনো দিন জানা যেত
তার গন্তব্য কোথায় যে
ছিল,
শহরে সেই নামকরা ঘিঞ্জি বস্তি, পুরাতন
শনি দেউলের কাছে, মুগলিয়া
মসজিদের লাগোয়া,
সেখানে দেখি
এক উত্পীড়িত চোখ চেয়ে রয় অবিরাম
পথচারীর দিকে, সেই বৃদ্ধার
ফেকাশে চোখে প্রেমের
অর্থ কি ছিল, যদি
জানা যেত,
বৃদ্ধাশ্রমের সেই অজানা মুখ,হারানো হাসি
বৃদ্ধাশ্রমের সেই অজানা মুখ,হারানো হাসি
কোঁচকানো রেখাযে বাঁধানো
জীবন, যদি জানা যেত
তার অন্তর্মনের
গভীরতা,
যখন তুমি জীবনে প্রথম হাঁটতে শিখেছিলে,
যদি জানা যেত নিজস্ব ছাড়া
দুনিয়ায় আরো চেহারা
খুঁজে কিছু স্বপ্ন,
বেঁচে থাকার অজুহাত,এক কচি হলুদ রাঙ্গা
সকাল, স্নেহের শিশির বিন্দু
এক ফালি খুশি.
-- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন