খনির শুদ্ধিকরণ
অথচ জীবন যেন নিরুত্তর, বোধ হয় শব্দের
সন্ধানে নিজেই নিখোঁজ, সে ঠিকই
বলেছিল কবিতার ছন্দের
ভিতরে হয় ত
পৃথিবী
জাঁকালো, গোটা মুকলিত কৃষ্ণচুড়ার শামিয়ানা,
কিছু ক্ষণের নীরবতার পরে সে শুধিয়ে
গেছে বাস্তব ও স্বপ্নের মাঝে আছে
গভীর খাদ সেতুবিহীন,
পারবে পার হতে,
নির্বাক
তখন আমি চেয়ে আছি তার অর্ধ গায়ের উপরে
ছড়ানো জাফরি আলোর মায়াবী রেখা -
চিত্র, শিরীষ গাছের অনেক নিচে
নেমে গেছে শিহরিত সূর্য্য,
হেমন্ত কি শরত
কালের
সেই সন্ধে বেলায় প্রথম জেনে ছিলাম, জীবনে
শুধুই প্রেমের দুঃখটাই বড় দুঃখ নয়,
তার ওই বাধ্যবাধকতার
আগে হয় ত সে দিন
নিস্পৃহ
তাকিয়ে ছিলাম, মনে মনে হয় ত ঘৃনা করেছি,
আসলে ঘৃনা করাটা খুবই সহজ, কিন্তু
সত্যতা জানার পরে বিরূপতা
কে গ্রহণ করা দুঃসাধ্য,
কত জন যে
নীলকন্ঠ,
সুদর্শন হলেই যে সুপুরুষ হবে বলা মুশকিল,
সবাই কি কবিতার বাইরে এসে
হারানো ছন্দ খুঁজতে চায়,
অবশ্যই না, অগ্নির
উপরে হাত
রেখে শপথ করাটা কি অগ্নিস্নান, সুবর্ণ হওয়ার
প্রক্রিয়া খুবই জটিল - - -
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন