জানি না, তার মনের জলদর্পণ
মেঘলা দিনের আবছা সকাল, প্লেট ফর্মে
এই গনা ক এক মানুষ, কিছু ফুলের
বস্তা ওয়ালা, কিছু পানের চাষি,
ছোট হল্ট, ও স্টেশানের
এক প্রান্তে, গায়ে ডুরে
কাটা শাড়ি তে
তুমি দাঁড়িয়ে,
হাওয়ায়
শীতের স্পর্শ, যেন ফিরে যাবার তাড়ায়
কেউ ভুলে গেছে তুলে রাখতে
খোলা আতরদানী, বসন্তের
গন্ধ বয়ে চলেছে শিমুল
পাড়ায়, জলাভূমির
কিনারা গুটিয়ে
চলেছে
নিজের সাম্রাজ্য, জানতে খুব ইচ্ছে ছিল যে সে
দিন কোন ভাবনায় ছিলে হারায়ে, ঠিক
তখন অতি তীব্র গামী ট্রেন, হঠাত
স্টেশানের সম্পূর্ণ চত্বর
কাঁপিয়ে নিমেষে
অদৃশ্য হয়ে
গেল,
বাঁশ সেগুনের বন পেরিয়ে বহুদূর, তুমি
তখন ও স্থির, কাঁধে ঝুলানো
কাপড়ের থলি, দেখি
চেয়ে আছ দূর
দিগন্ত রেখা,
যেখানে
দুই রেললাইন মিলিত হবার ভান করে,
এই ভাবতে ভাবতে, কিছু ক্ষনেই
কত ট্রেন গুলো পার হয়ে
গেছে, ক্রমশঃ ভিড়
বেড়ে চলেছে,
তুমি মুখ
গুজে বসে আছ বেঞ্চের এক কোণে, একাকী
কিছু অন্তরে যখন আমি গিয়ে
বসলাম, তুমি টের ও পাও
নি, ফিরে চাওয়া ত
দুরের কথা,
আঁচল মুখে রেখে তুমি সমানে চাপা কান্নায়
তখন ব্যস্ত, তোমার স্পন্দনের
আওয়াজ সে দিন স্পষ্ট
শুনতে পেয়েছি,
কিছু নিরব
মুহুর্তের
পরে, আমি শুন্যতা ভাঙলাম , এই কি আপনি
যান নি, কত লোকাল গুলো ত বেরিয়ে
গেছে, সে পিছনে ফিরে, জলভরা
চোখে উত্তর দিল -যার আসার
কথা ছিল সেই যখন এলো
না, এই শুন্য পথে যাই
কোথায় ! আপনি ?
তার প্রশ্নের
পূর্বেই
জবাব যেন যেন ছিল তৈরী, অন্তরে অন্তরে
ওই রকমই আমার কাহিনী, যার
আমায় চাওয়ার কথা ছিল
সে এক বার ও চেয়ে
দেখি নি, শুধুই
সে রয়েছে
নিমগ্ন !
আকাশ, মেঘ, পুষ্পবীথি, ট্রেনের আসা যাওয়ার পথে,
তার স্বপ্নের জগতে আমি সহযাত্রী হবার
চেষ্টা করলাম কিন্তু হতে পারিনি,
জানি না কোনো দিন তার
চোখে আমার বিম্ব
ভাসবে ও কি
না,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন