আগের জন্মের তৃষ্ণা
সুইসাইড পোইন্টে মেঘেদের দুর্বলতা
স্পষ্ট বোঝা যায়, ঠিক যেন তার
সঘন চোখের লোমের ছায়া
ঘনিয়ে আনে সাঁঝের
সান্দ্রতা, ঝিলের
শান্ত পৃষ্ঠতলে
সহসা
যেন অপ্রত্যাশিত উত্তেজনা, ঝঞ্ঝার আশঙ্কা !
সে এখন খুবই কাছে সরাসরি বুকের
মাঝে, ঝাপসা আলোয় খুঁজতে
চায় আবেগের কস্তুরী,
মৃগনাভির সুড়ঙ্গ,
কমল নাল,
বৃষ্টির
উত্পাত শীর্ষে,জানালার কাচে পতঙ্গের শেষ
প্রজনন মুহূর্ত, কিছু ভাঙা পারদর্শী ডানা,
প্রগাঢ় নিঃশ্বাসের মধ্যে প্রাক্কালীন
প্রমত্তময় আচরণ, ঝুলে রয়
সমস্ত সংস্কৃতি ও
সভ্যতার
ভেজা আবরণ, কুটোর আগুনের চতুর্দিকে
ছড়িয়ে রয়েছে হিংস্র পায়ের ছাপ,
আঁধারে বোঝা মুশকিল,
মানুষের পদচিহ্ন
অথবা বুনো
প্রেমিক !
জানালার ফাঁক থেকে দেখি, ঠিক কটেজের
গেটের কিছু দুরে বসে আছে গুলবাঘ
দম্পতি, চোখে নিয়ে শিখাসদৃশ
কামার্ত আলো, গ্রীবা ও
মেরুদণ্ডে দংশিত
ভাগে হয় ত
মিষ্টি
ব্যথার সংবেদন, গায়ে গলিয়ে ফতুয়া আমি
খুলি আস্তে করে দরজা, দেখি তারা
ঘুমিয়ে আছে জড়িয়ে পরস্পর,
সুন্দর ভাবে, রাত সবে
যৌবনের দিকে,
সে এখনো
জাগা,
ঝির ঝির বৃষ্টির সুরে গাইছে অতৃপ্ত প্রণয়ের
গান, ডাকছে ভীষণ টানে বিধ্বংসী
ভালবাসার বান, অভিলাষে
তার দৈহিকের সঙ্গে
যেন মিশিয়ে
আছে
আত্মিক পিপাসা, শুধুই ধু ধু মরুভূমি একরাশ !
-- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন