দেখতে চেয়ে ছিল সে ঝলসানো বুকের মাংস পেশী, হয় ত পোড়া লোম ও ত্বকের
গন্ধ তাকে কামার্ত ভাবে
আবেশিত করে
গিয়েছে
সে দিন, কিন্তু আমি বাধা দিয়ে জানিয়েছি, না,
এখনো জীবন জ্বলনশীল, হাত দিলে খুঁজে
পাবে না নিজের সম্ভ্রম, হারিও না
অকারণে নৈসর্গিক কুহক,
নিভুক অরণ্য অগ্নি,
উঠুক আবার
অঙ্কুরিত,
প্রেমের কিশলয়, ছাইর স্তর পার করে ক্রমশঃ,
আস্তে করে তার দুই হাত, বুক থেকে
সরিয়ে শুধিয়ে ছিলাম, ছিঁড়ে
ফেল না কচি পাতার
সঙ্গে তরুণ
শেকড়,
বোধ হয় সে সময় তার চোখে আমার অস্তিত্ব
ছিল, কেবল জিজ্ঞাসাচিহ্ন, পরাজিত
যোদ্ধা কিংবা কাপুরুষ, জানি
না কি ভাবতে ভাবতে
সে গুছিয়েছে
খোলা
বিনুনি, কিছু ক্ষণ চেয়ে রইলো বাতায়ন পারে,
অবশ্যই তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে নিয়ে
এক পশলা বৃষ্টি, ভিজিয়ে গেছে
পাঁচ মাথা হতে মির্জা
গালিব স্ট্রিট,
আঁচল
বুকে টেনে, আনত চোখে সে তুলেছিল কবিতার
বই, চেয়েছিল অনুমতি বা দিয়ে ছিল
নিরব অভিশাপ, আমি কোন
দিন তা বুঝতে পারি নি,
তার তেতলা
হতে
বাস স্টপ অব্দি নিস্তব্ধতার সঙ্গে হেঁটে যাওয়া,
মনের ভিতরে পাতিয়ে ছিল বিচিত্র
ভাঙন, এগিয়ে দিলাম তাকে
হয় ত জীবন পথের
অনেক আগে,
প্রেমের
প্রমাণ করা টা হয় উঠি নি সহজ, রাতে অনেক
ক্ষণ ঘুম আসি নি চোখে, যেন বিরাট
একটি ভুল করে গেছি, কিন্তু
সেই ভুলের সঙ্গে দেখি
আগামী সন্ধ্যা
হয় উঠেছে
বেশি মধুর, দেখেছি তার মুখে অপ্রত্যাশিত
বিশ্বাস, সঘন ভালবাসা, যেন নিশি
গন্ধার বৃন্তে ফুটে চলেছে
থোকা থোকা
শুভ্র ফুল,
কিছু লালচে ভাব, কিছু আধখোলা পাপড়ি, গন্ধে
ভরা অধিকরণ, অনন্ত সুবাসিত
অঙ্গীকার - -
- শান্তনু সান্যাল
http://sanyalsplanet.blogspot.com/
painting river by Abhijit Bhattacharya