নিমজ্জনের সাক্ষী কেউ ছিল কি
সেই অতিরিক্ত পাওয়ার অভিলাষে, জীবন
ফিরে আসে বারংবার রিক্ত হাতে,
মনের গভীরে অপ্রকাশিত
পড়ে রয় দিব্য প্রেম
একাকী,আঁখি
খুঁজে
অহরহ, ছদ্ম প্রণয়ের আলো আসেপাসে, ক্ষিপ্র বেগে -
ধেয়ে যায় ভাবনার অশ্ব, মরু প্রদেশ হতে
নোনা জলাভূমি, অরণ্য পথ গামী,
থামতে চায় না হৃদয় কোনো
ভাবে, সেই অন্তহীন
তৃষা বুকের
মাঝে,
আবেগের কুম্ভ যেন চিরদিনই চলকে পড়ে পথ ঘাটে,
অদ্ভুত জোছনার মায়া, ভ্রমিত অবচেতন
দেহ ও প্রাণ, বুঝে উঠতে পারে না,
জল স্থলের তফাৎ, ছুটে যায়
তটভূমি বহু দূর, সাড়া
কেউ দেয় না,
ফিরে
আসে সমস্ত চিত্কার, আর্তনাদ, নিমজ্জনের পূর্বে
শুধুই জেগে রয় সৈকতের অসমাপ্ত এক
বিচিত্র নীরবতা, ঘনিয়ে আসে
আঁধার সঘন, ভূত ও
ভবিষ্যত কিংবা
বর্তমান,
সব কিছু তখন অর্থহীন, অচেনা পুরাতন প্রেমিক !
চিনেও চিনতে চায় না, পরিচয় পত্র
ভেসে রয় কালের তরঙ্গে,
ক্রমশঃ জীবন তখন
অস্তাচলের দেশে,
পরিত্যক্ত
ঢিবির মত পড়ে রয় দেহের ভূমি অবহেলিত নোনা
জলের মাঝে, কথা কয় নিজের সাথে,
পাখিরা অবাক চেয়ে থাকে
তার ক্ষণে ক্ষণে
ভাঙ্গনের
রূপ, পরিশেষ তারাও উড়ে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের
সন্ধানে - - -
- শান্তনু সান্যাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন